কৃষিবিদ ড. এ, বি, এম, মাসুদ হাসান ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দে মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট, আঞ্চলিক গবেষণাগার, ঝিনাইদহে ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা পদে যোগদান করেন। তিনি ০২ অক্টোবর ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দ মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট, বিভাগীয় গবেষণাগার, খুলনায় বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা পদে যোগদানের মাধ্যমে এই প্রতিষ্ঠানের কর্মজীবন শুরু করেছিলেন। ড. মাসুদ যশোর শিক্ষাবোর্ড হতে এসএসসি ও এইচএসসি উভয় পরীক্ষায় ১ম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএসসি এজি (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তি হন। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হতে ১ম শ্রেণিতে বিএসসি এজি (সম্মান) এবং ১ম শ্রেণিতে স্নাতকোত্তর (মৃত্তিকা বিজ্ঞান) ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে BARC এর NATP প্রকল্পের বৃত্তি পেয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগ হতে লবণাক্ততা ব্যবস্থাপনার উপর পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। দেশি বিদেশি বিভিন্ন সায়েন্টিফিক জার্নালে তাঁর ২০টি গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।
ড. মাসুদ উপকূলীয় লবণাক্ত এলাকায় ডিবলিং ও চারা রোপণ পদ্ধতিতে ভূট্টার চাষ, বিনা কর্ষণে গম ও সূর্যমুখী আবাদ, ধান ক্ষেতের আইলে সবজি চাষ, ফ্লাইং বেডে সবজি চাষ প্রভৃতি প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে উপকূলীয় লবণাক্ত পতিত জমি চাষের আওতায় আনতে অবদান রেখেছেন। বর্তমানে তিনি সিলিকন প্রয়োগের মাধ্যমে লবণাক্ত মাটি ব্যবস্থাপনা এবং অন্যান্য মাটিতে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য গবেষণারত। তাছাড়া, সার পরীক্ষা করে যথাযথভাবে গুণগতমান নির্ধারণী রিপোর্ট প্রদান এবং ভেজাল সার বিষয়ক প্রশিক্ষনের মাধ্যমে খুলনা বিভাগের বিশেষকরে যশোর জেলার নওয়াপাড়ায় ভেজাল সার র্নিমূলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়েছেন।
ড. এ, বি, এম, মাসুদ হাসান ১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দের ২১ আগষ্ট যশোর জেলার শিকারপুর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মরহুম মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান একজন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, রাজনীতিবিদ ও সমাজ সেবক হিসেবে সুপরিচিত। তাঁর মাতা মরহুমা মোছাঃ তাজকিরা খাতুন ছিলেন একজন শিক্ষিতা আদর্শ গৃহিণী। ড. মাসুদ ব্যক্তিগত জীবনে এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তানের জনক। তাঁর সহধর্মিণী একজন শিক্ষিতা সুগৃহিণী।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস